Thursday, 3 April 2025

অ্যাতলেটিকোকে হারিয়ে ফাইনালে রিয়ালের সঙ্গী বার্সেলোনা

 


সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ৪-৪ গোলের শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই হলেও, বার্সেলোনা-অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের দ্বিতীয় লেগে ছিল উল্টো চিত্র।

এই ম্যাচে ১-০ ব্যবধানে জিতলেও যে কোপা দেল রে’র ফাইনাল নিশ্চিত তা জেনেই দুই দল মাঠে নামে। সেই স্কোরলাইন ম্যাচের মাত্র ২৭ মিনিটেই পেয়ে যায় বার্সা। বাকি সময়ে স্বাগতিক অ্যাতলেটিকোকে তারা ভালোভাবেই আটকে দিয়েছে।

ফলে ২০১৩-১৪ মৌসুমের পর আবারও কোপার ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বার্সা-রিয়াল মাদ্রিদ।

গতকাল (বুধবার) ফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে ঘরের মাঠ মেট্রোপলিটন স্টেডিয়ামে ব্লু গ্রানারদের আতিথ্য দিতে নামে অ্যাতলেটিকো।

যদিও নিজেদের ডেরায় ম্যাচজুড়ে আধিপত্য দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে মাদ্রিদের ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ খেলতে থাকা অ্যাতলেটিকো বিদায় নেয় নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের বিপক্ষে হেরে।

লা লিগায়ও শীর্ষস্থান হারিয়েছে আগেই, তবে আশা শেষ হয়ে যায়নি। এবার কোপাও হাতছাড়া হয়ে গেল দিয়েগো সিমিওনের দলের।

ম্যাচের ফল নির্ধারণী একমাত্র গোলটি ২৭ মিনিটেই করেছিলেন বার্সার স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফেররান তোরেস। আক্রমণ ও বল দখলে এগিয়ে থেকে কাতালানরা গোলের জন্য ১৫টি শট নিয়ে ৫টি লক্ষ্যে রাখতে পারে।

বিপরীতে ৬ শটের একটিও লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ অ্যাতলেটিকো। তাদের হারিয়ে বার্সেলোনা সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ ম্যাচের অপরাজেয় যাত্রা ধরে রেখেছে।

এই বছর এখনও কোনো ম্যাচ হারেনি লা লিগার শীর্ষে থাকা হ্যান্সি ফ্লিকের দল।

কাকতালীয়ভাবে স্প্যানিশ কোপার দুই সেমিফাইনালের ফলই মিলে গেছে। দুই লেগের হিসাবটাও যেন নিজেদের মধ্যে অদল-বদল করেছে চার স্প্যানিশ পরাশক্তি।

রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে ১-০ গোলে প্রথম লেগে জয়ের পর ফিরতি ম্যাচে ৪-৪ ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদ। অ্যাগ্রিগেটে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে তারাই ফাইনালে ওঠে। এদিকে, ফেব্রুয়ারিতে হওয়া প্রথম লেগে ৪-৪ গোলে ড্র করার পর ফিরতি ম্যাচে ১-০ গোলে অ্যাতলেটিকোকে হারাল বার্সেলোনা।

এ নিয়ে চার বছর পর কাতালানরা এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠল। ২৬ এপ্রিল ফাইনালে হবে রিয়াল-বার্সার আরেকটি এল ক্লাসিকো।

এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই উভয় দল আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে উঠলেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না। কাতালানদের সামনে প্রথম ভালো সুযোগটি আসে ২৭তম মিনিটে।

লামিনে ইয়ামাল বক্সে দারুণ পাস দিলে, ছুটে এসে ফেররান তোরেস প্রথম স্পর্শেই আগুয়ান গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে বল জালে জড়ান। রবার্ট লেভান্ডফস্কির জায়গায় শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়েই ফলনির্ধারণী গোলটি করলেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।

বিরতির আগে সফরকারীদের আরও কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া হয় রক্ষণ, গোলরক্ষক ও লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া অ্যাতলেটিকো ওয়ান-অন-ওয়ানে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। এরপর ৬৯তম মিনিটে বল জালেও জড়ান দলটির নরওয়েজিয়ান ফরোয়ার্ড আলেক্সান্ডার সরলোথ। তবে অফসাইডে কাটা পড়ে সেটি। বাকি সময়ে আরও কয়েকটি সুযোগ তৈরি হলেও কোনো দলই স্কোরলাইনে পরিবর্তন আনতে পারেনি।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: