Thursday, 3 April 2025

রাজধানীতে ধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদ করায় ভাই-বন্ধুসহ তরুণীকে মারধর

 


রাজধানীতে ইভটিজিং ও ধর্ষণের হুমকির প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগী তরুণী ও তার ভাইকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন তার বন্ধুও।

বুধবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৮টার দিকে বনশ্রীর এফ ব্লকের ৩নং সড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী তরুণী। এ ঘটনায় রাতেই রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

জানা গেছে, বনশ্রী ই-ব্লকের ৩নং রোডের শেষ মাথার জুস দোকানের ভেতরে ছিলেন ওই ভুক্তভোগী তরুণী। সে সময় অজ্ঞাতনামা এক লোক বারবার আমার দিকে তাকাচ্ছিল দেখে আমি তার নিকট জানতে চাই আমাকে চেনে কি না? কেন তাকাচ্ছেন বারবার। এ কথা শুনে উনি উত্তেজিত হয়ে চিল্লাচিল্লি শুরু করেন। এ কারণে আমি ও আমার ছোট ভাই ও বন্ধু দোকান থেকে বের হই।

বের হওয়ার পর ওই দোকানে অজ্ঞাতনামা দুজন প্রবেশ করে। খুব সম্ভবত ওই লোকের কাছ থেকেই তাকানোর বিষয়টি শুনে তারা আমার দিকে তাকালে কী হবে বলে টিজ করতে করতে দোকান থেকে বের হয়ে বিবাদী জিশানসহ অজ্ঞাতনামা দুজন আমার পথরোধ করে।

এটা দেখে আমার ছোটভাই তাদের সামনে এসে দাঁড়ায়। তখন তারা আমার ভাইকে থ্রেট দেওয়া শুরু করে এবং বলে যে, ‘বাসা কই, চল বাসায় যাই’। আমি তখন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বলতে থাকি যে, আমাকে টিজ করায় আমার ছোট ভাই সামনে আসছে, আপনারা সরেন, ওরা আরও উত্তেজিত হতে থাকে এবং আমার ভাইকে দুজন ফেলে মারতে শুরু করে। তখন আমি আমার ভাইকে রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে পেছন থেকে বিবাদী জিশান ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা এসে আমাকে চুল ধরে হ্যাচকা টান দিয়ে বুকে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করে ও আমার শরীরে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি দেয়।

অন্যদিকে আমার ভাইকে মারপিট করতে দেখে আমার বন্ধু মাশফিক ভিডিও করতে গেলে তাকেও এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি ও লাথি মারে। এরপর বিবাদী জিশানসহ অজ্ঞাতনামা দুজন ব্যক্তি আমাকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া শুরু করে এবং আরও বলতে থাকে যে, ‘রেপ করসি?’, ‘হ দেখ রেপ করসি’।

ঐ সময় বিবাদী জিশান মোবাইল ফোনে ফোন করে আরও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন লোক নিয়ে আসে। সবাইকে শনাক্তও করা যায়নি, বিবাদী জিশানসহ অজ্ঞাতনামা দুজন ব্যক্তি আমাদের ফোন ফেলে দিচ্ছিল বারবার লাথি দিয়ে। বলছিল কার কাছে যাবি যা? একজন বলল, ‘আমি আনন্দ টিভির সাংবাদিক, যা কার কাছে বিচার চাওয়ার চেয়ে নে’।

তখন এক বয়স্ক লোক এসে ওদের সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করে বলতে থাকে যে, ‘আমি সমিতির নেতা, সমাধান করে দিব।’ তখন আমি ও আমার ছোট ভাই চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশে চলে যাই।

জানতে চাইলে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আতাউর রহমান আকন্দ জানান, মামলায় সোয়েব রহমান জিশান (২৫) নামে এক যুবকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের দুই যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণী কিছু ফুজেটও দিয়েছেন পুলিশকে। থানার একাধিক টিম কাজ করছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: