মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন অভিযুক্তরা। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) নিয়ামতপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সোহেল, সাগর ও আরিফুল।
বক্তব্যে তারা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে বিথী খাতুন থানায় যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা বানোয়াট ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
উল্লেখ্য বিথী খাতুনের ছিনতাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পরদিন বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে সোহেল রানা বলেন, বেশ কয়েক বছর আগে তার বোন আল্পনাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন নিয়ামতপুর সদর ইউনিয়নের কানইল গ্রামের বাসিন্দা মতিউরের ছেলে নসীব। এসময় তার বোন আল্পনা গোপনে পরিবারের ২লক্ষ নগদ টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণ অলংকার সঙ্গে নিয়ে বাড়ি থেকে নসীবের হাত ধরে নিরুদ্দেশ হোন।
এর ১৫ দিন পর তার বোন আল্পনাকে ফেলে রেখে নসীব নিরুদ্দেশ হোন এবং সকলের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। নিরুপায় হয়ে বোন আল্পনা আমাদের পরিবারে ফিরে এসে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে জীবনযাপন করছে।
ঘটনার প্রায় ২ বছর পর ২এপ্রিল ঈদের পর দিন সন্ধ্যায় আরও একজন স্ত্রী নিয়ে নসীব নিজ গ্রামে ফেরার সময় গ্রাম সংলগ্ন রাস্তায় মুখোমুখি হয় আল্পনার ভাই সোহেলের সাথে। বোনের জীবন ও টাকা পয়ষা শেষ করে আরও একজন মেয়ে নিয়ে ফিরতে দেখায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন সোহেল। বাকবিতন্ডায় এক পর্যায়ে হৈইচৈইয়ে স্থানীয়রা ছুটে আসেন।
এসময় সোহেল নসীবকে কয়েকটি চড়থাপ্পড় পারেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে স্থানীয়রা বিসয়টি পরে দেখবে বলে উভয়কে শান্তকরে বাড়িতে পাঠায়।
এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই থানায় উপস্থিত হয়ে নসীবের স্ত্রী বিথী খাতুন বাদী হয়ে থানায় ছিনতাই ও মারামারীর অভিযোগ দায়ের করেন।
0 coment rios: