বিমর্ষ চেহারায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় দেখা মিলল ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের।
ফেসবুকে তার ছবিটি প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সাংবাদিক কনক সরোয়ার। ১ মাস আগেও তিনি জয়ের অত্যন্ত বিধ্বস্ত ও উদ্বিগ্ন ছবি প্রকাশ করেছিলেন।
ড. কনক সরোয়ার, প্রবাসী সাংবাদিক এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, বুধবার (১৬ এপ্রিল) তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে সজীবের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন।
ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মালবেরি এবং ক্যানাল স্ট্রিটের পাশে একটি রেস্টুরেন্ট থেকে তোলা।
ছবির ক্যাপশনে কনক সরোয়ার লিখেছেন, পলাতক হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বিষণ্ন সময় কাটাতে ঘুরতে এসেছেন নিউইয়র্কে, দুপুরে মালবেরি এবং ক্যানাল স্ট্রিটের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে জনৈকা তরুণীসহ লাঞ্চ করেছেন। তবে তার চোখে-মুখে হতাশা এবং অকাল বার্ধক্যের ছাপ ক্রমশই স্পষ্টতর হচ্ছে।’
ছবিটি পোস্ট হওয়ার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা মন্তব্য এবং আলোচনা শুরু হয়েছে। কিছু ফেসবুক ব্যবহারকারী সজীব ওয়াজেদ জয়ের বর্তমান অবস্থাকে নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন।
এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘মা ছেলে মিলে বাংলাদেশটারে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। একটা মানুষের জীবনে কত টাকা লাগে বেঁচে থাকতে। এরা তো মৃত্যুর কথা ভুলে গেছে।’
‘পৃথিবী থেকে মরবে না। তার মায়ের চাই ক্ষমতা। একটা মহিলা মানুষ তার এত ক্ষমতা, এত টাকা কিসের এত লোভ।
যখন মৃত্যু চলে আসবে তখন বুঝবে আমার মনে হয় তারপরও তাদের অনুশোচনা হবে না। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তাদের আল্লাহ যেন হেদায়েত দান করে।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘কোর্টের বোতামটা লাগিয়ে দেয়ার মতোও কেউ আজ পাশে নেই। এ থেকে সবার শিক্ষা নেয়া উচিত। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়।’
অপরজন লিখেছেন, ‘এগুলা মানুষের অভিশাপের ফল, আল্লাহ দুনিয়াতেই দেখিয়ে দেন, দাম্ভিকতা কতটা মানুষকে অধঃপতনের দিকে নিয়ে যায়, এটা তার প্রমাণ।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যান। এরপর থেকেই জয় টানা ভিডিও বার্তায় বিভিন্ন কথা বলে আসছেন।
একেক সময় একেক কথা বললেও মাঝে দীর্ঘদিন তিনি প্রকাশ্যে আসেননি। সর্বশেষ তাকে গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার ডালা শপিং সেন্টারে দেখা গিয়েছিল।
ওই ছবিটিও প্রকাশ করেছিলেন ড. কনক সরোয়ার। সেখানেও দেখা গিয়েছিল জয়ের বিমর্ষ চেহারা।
0 coment rios: