গরীব অসহায় এক কৃষকের ধান ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করে ৫২ শতক জমিতে আধাপাকা ধানে' ঘাস মারা বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে ফসল নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে সলঙ্গার সাহেবগঞ্জের চকসুজাপুরের প্রভাবশালী মুকুল হোসেন (৫৫) গংয়ের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী চকসুজাপুর এলাকার মৃত হামিদ মন্ডল এর ছেলে বক্স মন্ডল (৬২) সলঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানাজায়, সলংগা থানার চক সুজাপুর মৌজাস্থ বক্স মন্ডল এর ক্রয়কৃত সম্পত্তি যাহার, জে এল নং-১৮৭, দাগ নং-৫৮৩/৫৮৭/৫৯০/৬১৬/২৬২/২৬৫/৬০২ -৫২ শতক জমিতে ধান চাষ করে। উক্ত সম্পত্তি নিয়ে উপরোক্ত বিবাদীদের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। বেশ কয়েকবার বিষয়টি নিয়ে শালিশী বৈঠকশেষে উক্ত জমি বক্স মন্ডলকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
গত ৩১ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখ গভীর রাতে যে কোন সময় মৃত শাজাহান আলীর ছেলে মুকুল হোসেন (৫৫), আমিরুল ইসলাম (৪৫), মোঃ মানিক মিয়া (৪০), মোঃ মাসুদ রানা (৩৮), মোঃ মনিরুল ইসলাম (৩৫), ও মুকুলের ছেলে সৌড়ভ (১৮), শহিদুল ইসলামের ছেলে বুলবুল (১৮), মনিরুলের ছেলে শাকিল (১৯) বক্স মন্ডলের ধান ক্ষেতে বিশ প্রয়োগ করে।
সকালে বক্স মন্ডল তার ধানের জমিতে গিয়ে দেখতে পান ঘাস মারা বিষ প্রয়োগের ফলে তার ক্ষেতের ধান পুড়ে ছাই হওয়ার অবস্থা। এসময় জমায়েত লোকজনের সামনে মুকুল হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে সে ধান খেতে বিষ দেয়ার কথা স্বীকার করে এবং প্রকাশ্য বলে, আমরা বিষ দিয়েছি তারা যা পারে করুক।
ভুক্তভোগী বক্স মন্ডল (৫৫) বলেন, আমি গরীব মানুষ আমি অনেক কস্ট করে ফসলী জমি টুকু কিনেছিলাম, আমাকে দীর্ঘদিন জমিতে যেতে দেয় নাই। পরে বেশ কশেকটা শালিশ শেষে আমাকে চেয়ারম্যান ও স্থানীয় নেতাকর্মী সহ মাতব্বরদের মাধ্যমে জমি ছেড়ে দেয়। তারাও আবাদ করেছে, আমিও আমার অংশে আবাদ করেছি। তাদের ধান ঠিকই আছে কিন্তু আমার ধান পুরে মরে গেছে। আমি জানতে পারি মুকুল হোসেন তার ভাইয়েরা মিলে এ কাজ করেছে মাঠের মধ্য অনেক লোকজনের মধ্যও জানতে চাইলে তারা বলে আমরা বিষ দিয়েছি তুই যা পারিস কর। এপর তার কাছে গ্রাম্য মতুব্বরেরাও গিয়েছিল ,তাদের কাছেও স্বীকার করেছে। এবং তাদের কাছেও বলেছে যা খুশি করুক। আমি গরীব মানুষ দিন এনে দিন খাই, আমার ৫২ শতক জমির ধাঁন নষ্ট করেছে। ৬০ হাজার টাকার খরচ করেছি এখন পর্যন্ত আমি এখন সারাবছর কি খাব। আমি প্রশাসনের কাছে উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে মুকুল হোসেন এর কাছে জানতে তার বাড়ীতে গেলে সংবাদকর্মী পরিচয় পেলে কৌশলে সটকে পরেন।
অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সলঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন এবিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ নেয়া হবে।
0 coment rios: