Tuesday, 1 April 2025

শুধু কলা খেয়ে কলকাতাকে ধসিয়ে মুম্বাইকে জেতালেন অশ্বনী



 মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বাঁহাতি সিমার অশ্বনী কুমার আইপিএল অভিষেকে প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে চার উইকেট নিলেন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে বল হাতে গতির ঝড় তোলেন তিনি। তাতে দুই ম্যাচ হারের পর চলতি আসরে প্রথম জয় পেয়েছে পাঁচবারের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ৪৩ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় মুম্বাই। সাবলীল বোলিংয়ে অশ্বনী কলকাতাকে ধসিয়ে দেন। অথচ ম্যাচের আগে চাপ অনুভব করায় ক্ষুধা চলে গিয়েছিল তার। সারা দুপুর না খেয়ে মাঠে নামেন। শুধু কলা খেয়েছিলেন!

কলকাতাকে ১১৬ রানে আটকে দেওয়ার পর ইনিংস বিরতিতে ২৩ বছর বয়সী সিমার বলেন, ‘আমার সত্যিই ভালো লাগছিল। শুরুতে একটু চাপে ছিলাম, কিন্তু দলের পরিবেশকে সাধুবাদ জানাই। কোনও চাপই অনুভব হয়নি। লাঞ্চে আমি কিছু খাইনি, শুধু কলা খেয়েছিলাম। একটু চাপ ছিল। আমার ক্ষুধা লাগছিল না। কিন্তু তারপরও ভালো খেললাম, ভালো লাগছে।’

মেগা অকশানে ৩০ লাখ ভারতীয় রুপিতে অশ্বনীকে দলে টানে মুম্বাই। প্রথম ডেলিভারিতেই কলকাতা অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানেকে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ বানান। ১৫তম বোলার হিসেবে আইপিএলে প্রথম বলেই উইকেট পেলেন তিনি। তার দ্বিতীয় ওভারেও রিংকু সিং একই অঞ্চলে ক্যাচ হন। তিন বল পর মানীষ পান্ডে বোল্ড। নিজের তৃতীয় ওভারে অশ্বনী ৫ রানে আন্দ্রে রাসেলকে বোল্ড করেন। তিন ওভারে ২৪ রান দিয়ে চার উইকেট নেন তিনি।

কলকাতা ১৬.২ ওভারে মাত্র ১১৬ রানে অলআউট হয়। অশ্বনী স্পেল পুরোপুরি শেষ না করেও  মুম্বাইকে মৌসুমের প্রথম পয়েন্ট এনে দেন।

কলকাতার পক্ষে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন আঙ্ক্রিশ রাঘুবংশী। ৯৯ রানে ৯ উইকেট হারানো দলকে একশ পার করতে ভূমিকা রাখেন রমনদীপ সিং, তার ব্যাটে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান।

অশ্বনীর পাশাপাশি ২ উইকেট নিয়ে মুম্বাইয়ের দ্বিতীয় সেরা বোলার দীপক চাহার।

সহজ লক্ষ্যে নেমে মুম্বাই মাত্র ১৩ রানে রোহিত শর্মাকে হারায়। এরপর রায়ান রিকেলটনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১২.৫ ওভারে জিতে যায় দল। ৪১ বলে চারটি চার ও পাঁচটি ছয়ে ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার। সূর্যকুমার যাদব ৯ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। দুজনে মিলে ৩০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। ২ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান করে মুম্বাই।

কলকাতার হয়ে দুটি উইকেটই নেন রাসেল।


শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: