নিজস্ব প্রতিবেদক:
সলঙ্গা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এর ১০৬০ নং স্মারক মূলে আদিষ্ট হয়ে গত ১৬/১০/২০২৪ তারিখে তদন্ত কমিটি সরেজমিনে তদন্তকার্য সম্পাদন করে যার রিপোর্ট নিম্নরূপ:সলঙ্গা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারি শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার সংবাদ দৈনিক কলম সৈনিক পত্রিকা “সলঙ্গা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ও সহকারি শিক্ষিকা রহিমার প্রেমের সম্পর্ক তদন্তে প্রমাণিত" শিরোনামে প্রকাশিত হওয়ায় 'টক অব দ্যা সলঙ্গা আলোচনায় শীর্ষে ছিল।অভিযোগে জানা যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, পরকীয়া, বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত, অনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ নানাবিধ অভিযোগে সলঙ্গা ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারি শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের পদত্যাগ দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা। আগস্ট মাস জুড়ে উক্ত স্কুলের শত শত শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল, ক্লাস বর্জন অব্যাহত রাখে। এ ছাড়াও উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সাথে সহকারি শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়টিও প্রকাশ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে দুশ্চরিত্রা শিক্ষিকা রহিমার অপসারণও দাবি করেছে তারা। প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষিকা রহিমার পদত্যাগ দাবিতে মাঠে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিদ্যালয়ের শতশত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে সলঙ্গার সাধারণ শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। স্কুলের শিক্ষার্থী নাসির উদ্দীন ও শাওন, রফিক, হেলালসহ অনেকে জানায়, 'নানাবিধ ফি'র নামে নিয়মিত আমাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হতো।স্কুলের বাহিরে নামে বেনামে কোচিং বাণিজ্য সেন্টার খুলে সেখানে কোচিংপড়াতে বাধ্য করা হত। মেহেদী হাসান সরকার, সিজান আহমেদ, ইমরান হাসান নামে আরও শিক্ষার্থী জানায়, “আমাদের দাবি না মানলে আমরা ক্লাসে ফিরবো না এবং আগামী আরও বৃহৎ কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। এছাড়াও তাদের অপসারণ দাবিতে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকমন্ডলীগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়গঞ্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ও তার বাহিনী আন্দোলন স্থগিত করতে শিক্ষার্থী মেহেদী, নাসিরসহ কয়েকজনকে হত্যার হুমকি দিলে তারা সলঙ্গা থানায় ডায়েরি করেন।এদিকে তখন কলম সৈনিকসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর তৎকালিন রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেন এবং তদন্ত কর্মকর্তা প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এবং সহকারি শিক্ষিকার রহিমা খাতুনের প্রেমের বিষয়টি প্রমাণিত হয়।অভিযোগকারীগণের বক্তব্যঃ মোঃ আব্দুস সবুর মিয়া, সহকারী শিক্ষকের বক্তব্য। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সিসি ক্যামেরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন। নিরীক্ষা কমিটি গঠন করেননি, স্বাক্ষরহীন ভাউচার করেছেন। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও রহিমা খাতুন, সহকারী শিক্ষককে আপত্তিকর অবশ্যয় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে দেখেছেন। মোঃ আমিরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষকের বক্তব্য : প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম অর্থনৈতিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনকে তাদের হাতে রেখা গণনা করতে দেখেছেন। অশোক কুমার শান, সহকারী শিক্ষকের বক্তব্য হিসাব নিরীক্ষার সময় অর্থনৈতিক দুর্নীতি লক্ষ্য করেছেন। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সাথে সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের অনৈতিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন। শেফালী খাতুন, সহকারী শিক্ষিকা এর বক্তব্য ও প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সাথে সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন সহধর্মিণীর মত আচরণ করতে দেখাতেন, যেমন দুপুরের খাবার খাওয়ানো, কোর্ট পরিয়ে দেওয়া, একসাথে এক মাইক্রো বাসে করে ধানগড়া, ঢাকা, রাজশাহী গমন ইত্যাদি। জাফর আলী একাডেমি নামে একটি প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। সাইদুর রহমান, সহকারী শিক্ষকের বক্তব্য ঃ প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের সাথে যোগসাজসে আর্থিক অনিয়ম করেছেন। কে এম ট্রেড ইন্স: এর বক্তব্য ঃ প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করেছেন। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এবং সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনকে একসাথে বাথরুম থেকে একসাথে বের হতে দেখেছেন।অভিযোগকারীগণের বক্তব্য: গৌতম চন্দ্র সরকার ট্রেড ইন্স: এর বক্তব্য ঃ প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য স্টাফের সাথে সমন্বয় না করে সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের সাথে আলোচনা করে স্কুল পরিচালনা করতেন এবং তারা বেশির ভাগ সময় অফিস কক্ষে বসে সময় কাটাতেন। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এবং সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনকে বাথরুমথেকে একসাথে বের হতে দেখেছেন।মোঃ আব্দুর রহিম আকন্দ ট্রেড ইন্সঃ এর বক্তব্য ঃ প্রধান শিক্ষকের স্ত্রীর একটি অডিও প্রকাশ পায়, প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এবং সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং পরবর্তিতে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। মাসুদ রানা ট্রেড ইন্স: এর বক্তব্য : প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম নিয়মিত স্কুল করতেন না। অধিকাংশ সময় প্রধান শিক্ষকের কক্ষে সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন বসে থাকতেন। সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন কখনো সহকারী শিক্ষকদের সাথে বসতেন না। তিনি সবসময় প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী প্রধান শিক্ষক রুমে থাকতেন। গৌতম কুমার মোদক, সহকারী শিক্ষক এর বক্তব্য ও প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এবং সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের কথামত বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন।আব্দুল কাদের ট্রেড ইন্সঃ এর বক্তব্য ঃ প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করেন না এবং সবসময় সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের সাথে আলাপচারিতায় ব্যস্ত থাকনে। দিপক কুমার সরকার, সহকারী শিক্ষক এর বক্তব্য ঃ প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এবং সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের বেহায়াপনা চলাফেরা ও আচরণ নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের মধ্যে সমালোচনা রয়েছে। শিক্ষদের বিএড করার জন্য রেজুলেশন না দেওয়ার অভিযোগ করেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কোচিং বাণিজ্য ও জাফর আলী একাডেমি প্রতিষ্ঠার অভিযোগ রয়েছে। সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের বিরুদ্ধে সিনিয়র শিক্ষকদের লাঞ্ছনার অভিযোগ রয়েছে।অভিযোগকারীগণের বক্তব্য: সুবর্ণা রাণী সরকার, সহকারী শিক্ষিকার বক্তব্য ও প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের চলাফেরা, কথাবার্তা, অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাদের অনৈতিক সম্পর্ক প্রকাশ পায়। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন একত্রে বিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম নিয়ে জাফর আলী একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরে।মোঃ বেলাল হোসেন, সহকারী শিক্ষকের বক্তব্য ও তিনি প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনকে স্বামী-স্ত্রীর মত আচরণ লক্ষ্য করেছেন। তাদের সাথে নৈতিক সমর্থন না থাকায় বিএড পাশ করেও রেজুলেশনের অভাবে বিএড ডিগ্রিবিহীন অবস্থায় আছেন।কে এম আল মামুন, সহকারী শিক্ষকের বক্তব্য প্রধান শিক্ষক অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনকে একসাথে বাথরুম থেকে বের হতে দেখেছেন। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন রাজশাহীতে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে হোটেলে রাত্রী যাপন করেছেন বলে অনেকেই বলেছেন। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের দুজনের অনৈতিক কাজের জন্য আন্দোলন করলেও প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বরখাস্ত হলেও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন বরখাস্ত না হওয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।অভিযোগকারীগণের বক্তব্যঃ মোঃ আব্দুস সবুর মিয়া, সহকারী শিক্ষকের বক্তব্য ও প্রধান শিক্ষক সিসি ক্যামেরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন। নিরীক্ষা কমিটি গঠন করেননি, স্বাক্ষরহীন ভাউচার করেছেন। ২০১৩ সাল থেকে তিনি টাকা নিজে তুলতেন এবং তার যত সামান্য খরচ করতেন তার প্রমাণ আছে। তার আয় ব্যয়ের নিরীক্ষা কমিটি ছিল না। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তার অপকর্মের প্রমাণাদি ঢাকতে বিদ্যালয়ের তিনবার সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলেছেন। বিদ্যালয়ের রশিদ বইয়ে আদায়কৃত ছাত্র বেতনের পুরো টাকা ক্যাশ বইতে জমা না করে আত্মসাৎ করেছেন। পূর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক হওয়া সত্বেও বিদ্যালয় থেকে চার্জ এ্যালাউন্স গ্রহণ করেছেন প্রায় দশ লক্ষ টাকা যা প্রমাণিত।মোঃ আমিরুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষকের বক্তব্য ঃ একই ব্যাচে চাকরিতে যোগদান করেছি এবং একই ব্যাচের ছাত্র ছিলাম, আমি অডিট কমিটির সদস্য ছিলাম। কমিটির সদস্য থাকা অবস্থায় তিন মাসে তদন্ত প্রতিবেদনে চার লক্ষ্যের অধিক হিসাবের গড় মিল রয়েছে। প্রধান শিক্ষক কলামনার ক্যাশ বইতে স্বাক্ষর না করে এবং অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটির অনুমোদন ছাড়া বিল ভাউচার করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। বিধি মোতাবেক বিদ্যালয়ের আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকে জমা দিতে হবে এবং পরবর্তিতে ব্যয় কমিটির মাধ্যমে পাশ সাপেক্ষে চেকের মাধ্যমে উত্তোলণ করে তা ব্যয় করতে হবে। কিন্তু প্রধান শিক্ষক নিয়ম না মেনে আদায়কৃত অর্থ ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজের ইচ্ছামত অর্থ ব্যয় করেছেন। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক তার দাম্ভিক আচরণের মাধ্যমে শিক্ষকদের অপমান, অপছন্দ, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন কাজ কমিটি গঠন না করে বিশেষ একজন শিক্ষিকার মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অধিকাংশ কাজ করেছেন। প্রধান শিক্ষক অর্থনৈতিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত।অভিযোগকারীগণের বক্তব্য: অশোক কুমারশীল, সহকারী শিক্ষকের বক্তব্য ঃ হিসাব নিরীক্ষার সময় অর্থনৈতিক দুর্নীতি লক্ষ্য করেছেন। ফরম পূরণের সময় অকৃতকার্য ছাত্রদের নিকট হতে রশিদের চেয়ে অধিক টাকা আদায় করতেন। যা ক্যাশে জমা করেন নাই। প্রধান শিক্ষকের সাথে নারী শিক্ষকের অনৈতিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক গঠিত অডিট কমিটিতে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করায় আমরা তার আয়-ব্যয়ের বড় ধরনের অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছি। বিদ্যালয়ের সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন সরাসরি জড়িত আছেন।শেফালী খাতুন, সহকারী শিক্ষিকার বক্তব্য : প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের সাথে যোগসাজসে আর্থিক অনিয়ম করেছেন। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম অনেক সময় একই জিনিসের দুইবার ভাউচার করেছেন। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন বিদ্যালয়ে এসে স্বামী-স্ত্রীর মতো আচরণ করত। যা আমরা চক্ষু লজ্জায় এবং উভয়ের ভয়ে কিছু বলার সাহস পেতাম না।সাইদুর রহমান, সহকারী শিক্ষকের বক্তব্য ঃ প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের সাথে যোগসাজসে আর্থিক অনিয়ম করেছেন। বিগত তিন মাসে অডিট কমিটিতে ছিলাম সেই তদন্তে ছাত্র বেতন, পরীক্ষার ফি, মার্কেট ভাড়া ও জামানত সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে লক্ষ-লক্ষ টাকা আত্মসাৎ পরিলক্ষিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের সাথে আমি একমত।গৌতম চন্দ্র সরকার ট্রেড ইন্স: এর বক্তব্য ঃ প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম অন্যান্য স্টাফদের সাথে সমন্বয় না করে সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের সাথে আলোচনা করে স্কুল পরিচালনা করতেন এবং তারা বেশির ভাগ সময় অফিস কক্ষে বসে সময় কাটাতেন। তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের সাথে আমি একমত। প্রধান শিক্ষক আর্থিকভাবে দুর্নীতিগ্রস্থ।মোঃ আব্দুর রহিম আকন্দ ট্রেড ইন্স: এর বক্তব্য ও প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করে বিদ্যালয় পরিচালনা করতেন। আয়-ব্যয়ের হিসাব কমিটিতে শিক্ষকদের রাখেননি। প্রধান শিক্ষক নারী সহকর্মীর পরামর্শে বিদ্যালয়ের আর্থিক বিষয়গুলো পরিচালনা করতেন।অভিযোগকারীগণের বক্তব্য: এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন বিলাসী জীবন-যাপন করতেন যা তার আয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন বিভিন্ন কাজের অজুহাতে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের কক্ষে সময় কাটাতেন।চন্দন কুমার ট্রেড ইন্সপেক্টর এর বক্তব্য : প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন এবং আব্দুর রশীদ, সহকারী শিক্ষক তাকে মোটর সাইকেল যোগে সিংড়া নিয়ে যায় এবং তদন্তের দিন তাদের পক্ষে কথা বলার জন্য অনুরোধ করে।গৌতম কুমার, ল্যাব এ্যাসিস্ট্যান্ট এর বক্তব্য তিনি প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনকে একই চেয়ারে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান।শামীমা আক্তার, সহকারী শিক্ষক এর বক্তব্য ঃ প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুন অবহেলার দরুণ চাকরিকাল ১০ বছর হলেও তার এমপিও হয়নি। প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলামের সাথে সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের আচরণ দেখে মনে হয়েছে যে, সে তার সহধর্মিনী।আবু হেলাল শাহীন, সহকারী শিক্ষক এর বক্তব্য : প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষিকা রহিমা খাতুনের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রধান শিক্ষক জাফর আলী একাডেমি নামে অন্য একটি প্রতিষ্ঠান চালু করেছে এবং নিজ স্কুলের শিক্ষকদের তিনি অযোগ্য মনে করেন।আল মামুন সেখ, সহকারী শিক্ষক এর বক্তব্য ও নিয়োগপ্রাপ্তির পর থেকে তিনি প্রধান শিক্ষকের নিকট লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়েছেন। এই স্কুলের ফরম বিক্রি করে জাফর আলী একাডেমি প্রতিষ্ঠান করে।
0 coment rios: