Wednesday, 9 April 2025

সলঙ্গায় মৎস্য ব্যবসায়ী অপহরণ ঘটনায় আটক ২

সলঙ্গায় মৎস্য ব্যবসায়ী অপহরণ ঘটনায় আটক ২



সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় মৎস্য ব্যবসায়ী মোন্নফা সরকার ওরফে মান্নানকে অপহরণের ঘটনায় ৪ মাস পর ঢাকার আশুলিয়া নিরিবিলি এলাকা থেকে র‍্যাব-৪ এর সহযোগিতায় প্রধান আসামিসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।আটককৃত আসামী, সলঙ্গা থানার শ্রীরামের পাড়া গ্রামে আমজাদ আলীর ছেলে এরশাদুল ইসলাম(৩৫) ও আবু তালেব ছেলে আবু সুফিয়ান(২৫)।বুধবার (০৯ এপ্রিল) সকালে সলঙ্গা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মনোজিৎ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অপহরণ মামলায় ওরেন্টভুক্ত আসামী ঢাকার আশুলিয়া নিরিবিলি অবস্থান করছে খোঁজ পেয়ে র‍্যাব-৪ এর সহযোগিতায় প্রধান আসামিসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আকটকৃত আসামীদের বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।


উল্লেখ, সলঙ্গায় আব্দুল মান্নান ওরফে মোন্নাফ নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী গত (৭ ডিসেম্বর) শনিবার ভোরে প্রতিপক্ষে লোকজন কালো একটি মাক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে তাঁর ভাই মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে সলঙ্গা থানায় মামলা করেন।পরে (৮ ডিসেম্বর) রবিবার ভোর রাতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে তিন জনকে আটক করেন।

পরে (৮ ডিসেম্বর) রবিবার ভোর রাতে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে তিন জনকে আটক করেন।


সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার  এর ইন্তেকাল

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার এর ইন্তেকাল

 



হাটিকুমরুল ইউনিয়নের ২ ওয়ার্ডের মেম্বার জাহিদুল ইসলাম টিক্কা অনুমান সময় বাদ দুপর সড়ক দুর ঘটনায় ইন্তেকাল করিয়াছেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন

ভাই বোনের ভালোবাসার সম্পর্ক❤️❤️

ভাই বোনের ভালোবাসার সম্পর্ক❤️❤️




বোনঃ হ্যালো......?

ভাইঃ এতো রাতে ফোন দিছিস কেন বোন ...?

বোনঃ (কেদে কেদে) আমার খুব ভয় করছে, ভাইয়া,😢

ভাইঃ কেন কী হয়েছে...... ?

বোনঃ প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে .....আর মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ ও চমকাচ্ছে,

 আমার খুব ভয় লাগছে ভাইয়া,,

ভাইঃ তোর শশুর বাড়ির সবাই কোথাই,,,?

বোনঃ ঘর বাইরে থেকে তালা দিয়ে ওরা সবাই বেরাতে গেছে,,বাড়িতে আমি একা,,

ভাইঃ ভয় পাস না, তোর ভাইয়া তোর সাথে আছে,

বোনঃ তুই কিন্তু আমার সাথে সারা রাত কথা বলবি ভাইয়া,

ভাইঃ হুম বলবো,,

৫মিনিট পর ফোনের লাইনটা কেটে যায়,,, মেয়েটা আরো আরো বেশি ভয় পেয়ে যায় ঠিক ৩০ মিনিট পর.....

ভাইঃ হ্যলো.......?

বোনঃ জোরে জোরে কেঁদে কেদে.......তুই ফোন কেটে দিলি কেন....? ভাইয়া.....? আমি অনেক ভয় পাইছি........😢😢😢

ভাইঃ ভয় পাস না লক্ষি বোন.....তোর ভাই তোর বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে,,🌝

বোনঃ এই ঝড় বৃষ্টির রাতে তুই বাইরে দাড়িয়ে আছিস...??😔😔

ভাইঃ ভয় পাস  না  , যা ঘুমিয়ে পর

বোনঃ আর তুই,,?😢

ভাইঃ সারা রাত তোর জন্য দাড়িয়ে থাকবো,,,

এ ভাবে ওদের ভাই বোনের মধ্য কথা হতে থাকে কিন্তু,, হঠাৎ মেয়েটি ঘুমিয়ে পরে,পর দিন সকাল বেলা থকে মেয়েটি ওর ভাইকে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করে,,কিন্তু ফোনটা বন্ধ ছিলো,, মেয়েটি জানতে পারে ওর ভাইকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না,পরে জানা যায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে সেই রাতেই ছেলেটি মারা যায়,  মেয়েটি এই খবরটি শুনা মাএই অঙ্গেন হয়ে যায়,,,, আর আস্তে আস্তে কুমায় চলে যায়,,কিন্তু এখনো গ্রাম বাসিরা বলে যখন আকাশ মেঘ করে,জোরে বাতাস বয়,,ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকায়,,,তখন নাকি ওই মেয়েটির শুশুর বাড়ির সামনে কারো চিৎকারের আওয়াজ শুনা যায়,,,কেউ একজন চিৎকার করে বলছে,, ভয় পাস না তুই ঘুমা বোন আমি জেগে আছি,,,

আসলে মা বাবার পরে যদি আর কোন পবিএ সম্পর্ক থাকলে সেটা হলো ভাই বোনের সম্পর্ক,,, আমি ভাই বোনের সম্পর্ক কে সন্মান করি,,

আর সব সময় দোয়া করি যেন পৃথিবীর সকল ভাই বোন গুলো ভালো থাকে | 🤲

বিদায়!

পিএসএল খেলতে দেশ ছাড়লেন রিশাদ-লিটন

পিএসএল খেলতে দেশ ছাড়লেন রিশাদ-লিটন

 


ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ২০২৫ আসরের সূচি ঘোষণা করা হয়েছিল আগেই।

জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত প্লেয়ার্স ড্রাফট থেকে পিএসএলে দল পেয়েছিলেন বাংলাদেশের ৩ তারকা ক্রিকেটার নাহিদ রানা, লিটন দাস ও রিশাদ হোসেন।

ভিন্ন তিন ফ্র্যাঞ্চাইজির জার্সি গায়ে জড়াবেন তারা। লিটনের ঠিকানা করাচি কিংস, রিশাদ যাবেন লাহোর কালান্দার্সে আর নাহিদ রানার গায়ে উঠবে পেশোয়ার জালমির জার্সি। আগামী ১১ এপ্রিল পিএসএলের দশম আসরের পর্দা উঠবে। সেখানেই দেখা মিলবে তিন তারকা।

টুর্নামেন্ট খেলতে ইতোমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন দেশের এই তিন ক্রিকেটার। বিসিবি ছাড়পত্র দেওয়ায় খুশি ক্রিকেটাররা।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন লেগ স্পিনার রিশাদ। এর একদিন পর আজ মঙ্গলবার সকালে পিএসএল খেলতে ঢাকা ত্যাগ করেন লিটন দাস।

নাহিদ রানা অবশ্য এখনই যাচ্ছেন না সেখানে।

নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে লিটন ছবি শেয়ার করে বিষয়টি জানিয়েছেন। দেশ ছাড়ার আগে নিজ এবং নিজের দলের জন্য দোয়া এবং সাপোর্ট চেয়েছেন।

আর দেশ ছাড়ার আগে নিজ দল লাহোরকে শিরোপা জেতানোর প্রত্যয় শুনিয়েছেন রিশাদ।

উল্লেখ্য, রিশাদ এবং লিটন দুজনেই পুরো আসরের জন্য বিসিবির অনাপত্তিপত্র বা এনওসি পেয়েছেন। যার অর্থ, লিটনকে আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে দেখা যাচ্ছে না। তবে নাহিদ রানাকে পুরো আসরের জন্য ছাড়েনি বিসিবি। সিলেট টেস্টের পরেই তাকে পাবে তার দল পেশোয়ার জালমি।

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি ছাত্রশিবিরের

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি ছাত্রশিবিরের

 


মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিবেদন প্রকাশের অভিযোগ তুলে দৈনিক প্রথম আলোর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

মঙ্গলবার ৯ ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম স্বাক্ষরিত যৌথ বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য প্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, ‘‘চাঁদা না পেয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগ শিবিরকর্মীদের বিরুদ্ধে’’— এই শিরোনামে দেশের বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, নরসিংদী সদর উপজেলার মাধবদীতে ঈদের আগে চাঁদা না পেয়ে ইসলামী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে সড়কে ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।

যেখানে ভুক্তভোগী তার বক্তব্যে অভিযুক্তদের ছাত্রশিবিরকর্মী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

তবে প্রথম আলো ছাত্রশিবিরের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির বক্তব্য গ্রহণ না করে একপাক্ষিকভাবে এবং যাচাই-বাছাই ছাড়া ছাত্রশিবিরকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন প্রচার করেছে, যা সাংবাদিকতার মৌলিক নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন।’

তারা বলেন, ‘আমরা মনে করি, প্রথম আলোর মতো একটি প্রসিদ্ধ সংবাদমাধ্যম এ ধরনের একপাক্ষিক, যাচাইবিহীন এবং মনগড়া প্রতিবেদন দুর্ঘটনাবশত করেছে— এমনটি বিশ্বাস করার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই।

বরং এটি স্পষ্ট যে, সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের গঠনমূলক কর্মকাণ্ড এবং ইতিবাচক ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন।

একই সাথে, প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট পক্ষ বা গোষ্ঠীর প্ররোচনায় এই ধরনের মানহানিকর প্রতিবেদন প্রকাশের সুযোগ দিয়েছে। আমরা প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের এই দায়িত্বহীন, অসত্য এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

এ ছাড়া আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ওই ঘটনার সাথে ছাত্রশিবিরের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই।’

বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের দুই নেতা বলেন, ‘ইতিপূর্বে প্রথম আলো ছাত্রশিবিরকে নিয়ে একাধিক মনগড়া ও হাস্যকর শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

যেমন— ‘‘শিবিরের কমিটিতে পূজা চেরী, যা বললেন নায়িকা!’’, ‘‘২৬ বছর পর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ‘শিবির নাছির’। ’’এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে, যা সাংবাদিকতার নীতির পরিপন্থী।’

তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্র ও জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির কাছে একটি আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে।

এ সংগঠনের অর্থায়নের সুনির্দিষ্ট পন্থা তার গঠনতন্ত্রে সুস্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে। জনশক্তি ও শুভানুধ্যায়ীদের স্বতঃস্ফূর্ত অনুদানে ছাত্রশিবিরের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

তবে একটি অসাধু মহল মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে এবং পরিকল্পিতভাবে ছাত্রশিবিরের সুনাম ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে। ওই প্রতিবেদন তারই অংশ বলে আমরা মনে করি।’

জানা গেল 'বরবাদ'র আকাশ ছোঁয়া আয়!

জানা গেল 'বরবাদ'র আকাশ ছোঁয়া আয়!

 


এবারের ইদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে শাকিব খানের ‘বরবাদ’ সিনেমা। মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত এই সিনেমা মুক্তির প্রথমদিন থেকেই চুটিয়ে ব্যবসা করছে। সিঙ্গেল স্ক্রিন থেকে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতেও দর্শকরা বরবাদ দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে।

এমন অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ছিল, বিগ বাজেটের এই সিনেমা এখনও পর্যন্ত কত আয় করেছে? দর্শকদের সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছে বরবাদের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল এনার্জি প্রডাকশন।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে রিয়েল এনার্জি প্রডাকশন জানিয়েছে, মুক্তির প্রথম সাতদিনে বরবাদের গ্রস কালেকশন ২৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।

তবে মাল্টিপ্লেক্স থেকে কত ও সিঙ্গেল স্ক্রিন থেকে কত টাকা আয় করেছে সে বিষয়ে আলাদা তথ্য দেয়নি। সবগুলো মিলিয়েই শাকিবের সিনেমার প্রথম সপ্তাহে আয় ২৭ কোটি টাকা। যেটা দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে রেকর্ড পরিমাণও বলা যেতে পারে।

২০২৩ সালের ইদুল আযহায় শাকিবের ‘প্রিয়তমা’ একমাসে ২৭ কোটি টাকার টিকেট বিক্রির খবর প্রকাশ করেছিল। মাত্র সাত দিনেই ‘বরবাদ’ সেই সাফল্যে পৌঁছে গেল। সে হিসেবে বরবাদ ইতোমধ্যেই ব্লকবাস্টার সিনেমারও খেতাব পেল।

প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসেই ‘বরবাদ’ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মধ্যপ্রাচ্য, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপে মুক্তি পাবে। সে হিসেবে এই আয়ের পরিমাণ অচিরেই ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

এদিকে, সিঙ্গেল স্ক্রিনে অধিকাংশ হল দুই সপ্তাহের জন্য বরবাদ বুকিং নিয়েছিল। জানা যায়, বরবাদের দর্শক অধিকাংশ হল নতুন রেন্টাল দিয়ে সপ্তাহ বাড়িয়ে নিচ্ছে। মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘বরবাদ’ ছবিতে শাকিব খানের নায়িকা ইধিকা পাল। আরো আছেন মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, যীশু সেনগুপ্ত, শ্যাম ভট্টাচার্য প্রমুখ। এছাড়া আইটেম গানে পারফর্ম করেছেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী নুসরাত জাহান।

জামিনে মুক্ত সাবেক এমপিকে লাঞ্ছিত করে থানায় সোপর্দ

জামিনে মুক্ত সাবেক এমপিকে লাঞ্ছিত করে থানায় সোপর্দ

 


জামিনে কারামুক্ত হওয়ার পর সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সাবেক এমপি আবদুল আজিজকে মারধর করে থানায় সোপর্দ ক‌রে ছাত্র-জনতা। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে, সিরাজগঞ্জ কারাগারে গেটের সামনে।

তিনি হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক মামলায় জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক আবদুল আজিজের শার্টের কলার টেনে ধরে জোরপূর্বক গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাবেক এমপি আবদুল আজিজ ছাড়া পেয়েছেন, এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথে ছাত্র-জনতা সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে সামনে জড়ো হতে থাকে। এরপর আবদুল আজিজ যখনই জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে বের হন, ঠিক তখনই সবাই তাকে ঘিরে ফেলেন। তাকে ধরে টানাহেঁচড়া ও মারধর করেন।

সিরাজগঞ্জ কারা তত্ত্বাবধায়ক মো: কামরুজ্জামান জানান, 'উচ্চ আদালতের নির্দেশে তার জামিন হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে রাত পৌনে ৮টার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছেড়ে দেওয়ার পর বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা তাকে ধরে নিয়ে যায় বলে শুনেছি।’

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ন কবির বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা তাকে ধরে নিয়ে থানায় সোপর্দ করেছে। তিনি কখন ছাড়া পেয়েছেন, কে বা কারা তাকে ধরে নিয়ে যায়-বিষয়টি এখনও জানি না।’

তাকে কোনো মামলায় আটক করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে (ওসি) বলেন, ‘এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ-আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

Tuesday, 8 April 2025

সলঙ্গায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

সলঙ্গায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ ২জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

 


নিজস্ব প্রতিবেদক: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ৪০ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১২।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব ১২ এর কোম্পানী কমান্ডার দীপংকর ঘোষ।

তিনি জানান, র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় গত (৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ১১ টার দিকে র‌্যাবের সদর কোম্পানীর একটি চৌকস আভিযানিক দল সলঙ্গা থানার ধোপাকান্দি রিফা বেকারীর সামনে একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৪০ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও ২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামী,মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানার উত্তর ঝাউলাছড়া গ্রামের মৃত কানা মিয়ার ছেলে মোঃ আবুল কালাম (২৮),একই গ্রামের জয়নাল মিয়ার ছেলে মোঃ মমিন মিয়া (৩০)।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সলঙ্গা থানায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ১২টি টিয়ারশেল উদ্ধার

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় ১২টি টিয়ারশেল উদ্ধার

 


নিজস্ব প্রতিবেদক : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২টি টিয়ারশেল উদ্ধার করেছে হাইওয়ে ও সলঙ্গা থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে হাটিকুমরুলের ধোপাকান্দী গ্রামের পাশে স্বরস্বতী নদী থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ১২ টি টিয়ার সেল গুলো উদ্ধার করে।

হাটিকুমরুলের ধোপাকান্দি গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস সরকারের বাড়ীর পশ্চিমে স্বরস্বতী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে প্লাস্টিকের একটি ব্যাগে পরিত্যক্ত অবস্থায় টিয়ার সেল গুলো দেখে পুলিশকে খবর দেয়।

পরে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার পুলিশে একটি দল দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌছে ব্যাগসহ টিয়ার সেলগুলো নদী থেকে উদ্ধার করে।

এবিষয়ে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুর রউফ বলেন, ধোপাকান্দী গ্রামের লোকজন নদীতে মাছ ধরতে গেলে পরিত্যক্ত অবস্থায় প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়ানো অবস্থান ১২টি টিয়ারসেল দেখতে খবর দিলে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় এস আই আলমগীর সঙ্গীত ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে পৌছে টিআর সেল গুলো উদ্ধার করে।

পরে খবর পেয়ে সলঙ্গা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোখলেছুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার করা টিয়ার সেল হেফাজতে নেন।

উদ্ধার করা টিয়ার সেল গুলো ৪ আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় হাটিকুমরুল হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানায় আগুন ও অস্ত্র লুট হওয়া অস্ত্র হতে পারে বলে ধারনা করছে তিনি।

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোখলেছুর রহমান বলেন,উদ্ধার হওয়া টিআর সেল গুলো ৪ আগস্ট হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের উপর হামলা, অগ্নি সংযোগ ও অস্ত্র লুটপাট হওয়া অস্ত্র হতেপারে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।

গাজাবাসীর জন্য মন কাঁদছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদেরও

গাজাবাসীর জন্য মন কাঁদছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদেরও

 


ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান বর্বর হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে শত শত ফিলিস্তিনি।

দখলদার বাহিনীর বর্বর হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো উপত্যকা। ইতোমধ্যে ভূখণ্ডটিতে মৃতের সংখ্যা অর্ধলাখ ছাড়িয়েছে।

বর্বর ইসরায়েলি বাহিনীর এই নির্বিচার বোমা হামলায় হৃদয় পুড়ছে বিশ্ববাসীর।

প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবাদ হচ্ছে। প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন ক্রীড়াঙ্গনের তারকারাও।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আজ সকালে ফিলিস্তিনের পতাকার ছবি পোস্ট করেন মুশফিকুর রহিম। ক্যাপশনে মুশফিক লিখেছেন, ‘ওহ আল্লাহ।

নির্যাতিতদের সব জায়গায় সাহায্য করুন। ওহ আল্লাহ আপনি তাদের রক্ষাকর্তা, সাহায্যকারী ও শক্তিদাতা হিসেবে কাজ করুন।

ক্ষতিগ্রস্ত গাজার দালানকোঠার ছবি পোস্ট করে মাহমুদ উল্লাহ লিখেছেন, ‘হে আল্লাহ, দয়া করে সাহায্য করুন। হে রাহমানুর রাহিম, দয়া করে সাহায্য করুন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের রক্ষাকর্তা। দয়া করে তাদের রক্ষা করুন ও বিজয়ী বানিয়ে দিন। আমিন।

হে রব, এটা সহ্য করা যাচ্ছে না। আপনি আল-আহাদ, আপনি আস-সামাদ। হে আল্লাহ, দয়া করে রক্ষা করুন।’ মেহেদী হাসান মিরাজও গতকাল নিজের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে গাজার বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন দিয়েছেন, ‘গাজার আকাশ আজও বারুদের গন্ধে ভারী। গাজার আকাশ আজ অন্ধকার। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ঘরবাড়ি। নিস্তব্ধ শিশুরা কাঁদছে নিঃশব্দে। প্রতিটি কান্না প্রতিধ্বনিত হচ্ছে আমাদের হৃদয়ে। আসুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠ মিলাই, নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াই, আর গাজার জন্য আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ, নির্যাতিতদের ধৈর্য দিন, গাজাকে শান্তি ও নিরাপত্তা দিন। হে পরাক্রমশালী আল্লাহ, গা’জাকে হেফাজত করুন, অসহায়দের সহায়তা করুন।আপনি সর্বশক্তিমান।’

২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী আকবর আলী লিখেছেন, ‘গাজা শুধু একটি ভৌগোলিক নাম নয়, এটি যেন আজ নির্যাতিত মানুষের প্রতীক! দুঃখজনক হলেও বাস্তবতা হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। পুরো বিশ্ব এই গণহত্যার জন্য দায়ী থাকবে।

বিশেষ করে আরবসহ প্রতিটি মুসলিম দেশ যারা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও এর প্রতিবাদ করেনি। হে আল্লাহ, গাজাসহ বিশ্বের প্রত্যেকটা মুসলমানকে আপনি কুদরতি শক্তি দ্বারা হেফাজত করুন।’

গাজায় ধ্বংসযজ্ঞের ছবি শেয়ার করে ফেসবুক পেজে নাহিদ লিখেছেন, ‘এই নিষ্ঠুরতার ভার আমাদের সবার ওপর। একদিন আমাদের সবাইকে ইতিহাসের কক্ষে দাঁড়াতে হবে।’


ইসরায়েল কীভাবে এত শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হলো?

ইসরায়েল কীভাবে এত শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত হলো?

 


মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোর মাঝখানে ছোট্ট একটি দেশ ইসরায়েল। ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিন ছেড়ে যায় ব্রিটেন, আর ইহুদিরা ঘোষণা করে নিজস্ব রাষ্ট্র ইসরায়েলের। তখন থেকেই ইসরায়েল রাষ্ট্র শুধু টিকেই থাকেনি, বরং তাদের পরিধি আরো বাড়িয়েছে। গত ৭৫ বছরে ইসরায়েল রাষ্ট্র হিসেবে একদিকে যেমন শক্তিশালী হয়েছে, অন্যদিকে আরব রাষ্ট্রগুলোর মাথা ব্যথার কারণ হয়েছে।

মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের একমাত্র পরমাণু শক্তিধর দেশ ইসরায়েল। তারাই একমাত্র দেশ যারা শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে সরাসরি নাগরিকত্ব দেয়, সেটা পৃথিবীর যে প্রান্তেরই ইহুদি হোক না কেন। ৭৫ বছরে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অর্থনীতি বা সামরিক দিক দিয়ে বিশ্বে একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে ইসরায়েল। এটা সম্ভব হওয়ার পেছনে কাজ করেছে বেশ কয়েকটি বিষয়।

পশ্চিমা সাহায্য: ইসরায়েলের এতটা শক্তির পেছনে পশ্চিমা বিশ্ব, বিশেষত আমেরিকার একটা বড় অবদান আছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আমেরিকার বৈদেশিক সহায়তার সবচেয়ে বড় অংশ পেয়ে আসছে ইসরায়েল। ইসরায়েল জন্মলগ্ন থেকেই ব্রিটেন, ফ্রান্স ও আমেরিকার সমর্থন পেয়েছে।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে ফিলিস্তিন অঞ্চলটিতে ৪০০ বছরের অটোমান শাসনের অবসান ঘটিয়ে উপনিবেশ গড়েছিল ব্রিটিশরা। ফ্রান্সও এর মাঝে ছিল যদিও এই অঞ্চলটি সমঝোতার ভিত্তিতে ব্রিটেন শাসন করে। ইহুদিদের নিজস্ব একটি ভূখণ্ড থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে এসেছিল ব্রিটিশ সরকারের তরফ থেকেই।

তখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদিরা দলে দলে ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে আসতে থাকে। এনিয়ে আরব ও ইহুদিদের দ্বন্দ্বও বাড়তে থাকে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে তখন মুসলিমরা ছাড়াও খ্রিস্টানদেরও বসবাস ছিল। ইহুদিদের বসতি গড়ে তোলার প্রেক্ষাপটে আরবরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এই বিক্ষোভ দমনে ব্রিটেন নির্যাতনও চালায় আরবদের উপর। পরবর্তীতে ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণার পরও প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ নানাভাবে তাদের সাথে ছিল ফ্রান্স ও ব্রিটেন।

‘মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ইসরায়েল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় এবং সে গনতন্ত্রকে সমর্থন দেয় ফ্রান্স এবং ব্রিটেন,’ বলেন মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ছিল সেই দেশ যারা ইসরায়েলকে প্রথম স্বীকৃতি দেয়। ইসরায়েল রাষ্ট্র যেদিন প্রতিষ্ঠা হয়, ঠিক সেদিনই স্বীকৃতি দিয়েছিল আমেরিকা।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ‘অফিস অফ দা হিসটোরিয়ানসে’ উল্লেখ রয়েছে , হ্যারি এস ট্রুম্যান ১৯৪৬ সালেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরপরই ইহুদি রাষ্ট্রের ব্যাপারে তার সমর্থন ঘোষণা করেন।

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণা হলেও, এ অঞ্চলে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের প্রভাবটাই বেশি ছিল। কিন্তু আমেরিকার সাথে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হয় ১৯৫৬ সালে দ্বিতীয় আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে। ইসরায়েল পশ্চিমাদের মদদে যখন মিশরে হামলা চালায়, তখন মিশরের পক্ষে থাকা দেশগুলোকে সহায়তা করতে আগ্রহ দেখায় সোভিয়েত ইউনিয়ন আর মধ্যপ্রাচ্যে সোভিয়েত ইউনিয়নকে ঠেকাতে ব্রিটিশ সেনাদের হটিয়ে অবস্থান নেয় আমেরিকা।

‘ইসরায়েলের জন্মই হয়েছে মূলত পরাশক্তিদের বিশাল সমর্থনে যেটা ইসরায়েলের ক্ষমতায়নে একটা বড় ভূমিকা রেখেছে,’ বলেন লন্ডনের স্কুল অব আফ্রিকান অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের আওতাধীন মিডলইস্ট ইন্সটিটিউটের শিক্ষক ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক ড. সেইয়েদ আলী আলাভি।

এছাড়া এটাও মনে করা হয় যে ইহুদিদের সাথে শিক্ষাগত, সাংস্কৃতিক, বৈজ্ঞানিক এমন নানা দিক পশ্চিমা চিন্তাধারার সাথে মিলে যেটা আরবদের থেকে ভিন্ন, এজন্য ইসরায়েলকে মধ্যপ্রাচ্যে একটুকরো পশ্চিমা দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সত্তরের দশক থেকে আমেরিকার উদ্যোগে আরব রাষ্ট্রগুলোর সাথে ইসরায়েলের একরকম সমঝোতার পথও তৈরি হতে থাকে।

সামরিক ও প্রযুক্তির বিকাশ: ইসরায়েলের প্রতিবেশী মিশর, জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া, ফিলিস্তিন—সব কয়টি দেশ শত্রু হওয়া সত্ত্বেও ঠেকানো যায়নি ইসরায়েলের উত্থান। প্রতিবেশীদের সাথে তিনটি পুরোদমের যুদ্ধ (১৯৪৮, ১৯৬৭ এবং ১৯৭৩) এবং আরো বেশ কয়েকটি ছোটখাটো যুদ্ধ করেছে ইসরায়েল। সবকটি যুদ্ধে হেরেছে মুসলিমপ্রধান দেশগুলো।


ড. মাহমুদ আলীর মতে টিকে থাকার লড়াই আরো শক্ত করেছে ইসরায়েলকে। যদিও ড. আলাভি মনে করেন, ইসরায়েলের সামরিক ও প্রযুক্তিগত আধিপত্য পশ্চিমাদের কারণেই সম্ভব হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ইরানের প্রযুক্তিগত বিকাশ ঘটেছে প্রায় আমেরিকার বিপরীতে, আর ইসরায়েলের বিকাশ হয়েছে আমেরিকার বন্ধু থেকে।


তবে ইসরায়েলের ক্ষেত্রে দক্ষতার মাত্রাটা ভিন্ন। আধুনিক অস্ত্র, সাইবার সিকিউরিটি, আকাশ প্রতিরক্ষা, মিসাইল ব্যবস্থা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা - এসব দিকে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছে ইসরায়েল।

আমেরিকার কংগ্রেশনাল রিসার্চ সার্ভিস-এর রিপোর্ট বলছে, ইসরায়েলের প্রযুক্তিকে অত্যাধুনিক করতে প্রভাব রেখেছে আমেরিকা। ২০২৩ অর্থবছরে যৌথ সামরিক প্রকল্পে ৫২ কোটি মার্কিন ডলারের অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন কংগ্রেস যার মাঝে ৫০ কোটি শুধু মিসাইল তৈরির খাতের জন্য।

আমেরিকার সাথে কৌশলগত সম্পর্ক এবং বিনিয়োগ ইসরায়েলকে সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে লাভবান করেছে বলে মনে করেন তুরস্কের বিশেষজ্ঞ বুশরা নূর ওযঘুলার আকতেল, যিনি ইসরায়েল ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক গবেষক। মিস্ আকতেল বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন। মিস্ আকতেল বলেন, এভাবেই ইসরায়েল ‘স্টার্ট আপ রাষ্ট্র’ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে।

রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েল শুরু থেকেই চেয়েছে সামরিকভাবে শক্তিশালী হতে। কারণ, আরব রাষ্ট্রগুলোর মাঝখানে তাদের টিকে থাকার জন্য এটাই ছিল একমাত্র পথ। ইসরায়েল তাদের সামরিক শক্তির বিকাশও ঘটিয়েছে কৌশলে এবং দূরদৃষ্টি মাথায় রেখে।

দেশটিতে অসুস্থ এবং বিশেষ ব্যতিক্রম ছাড়া সব নাগরিকদের ১৮ বছর বয়সের পর বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হয়। তবে এটি শুধু ইহুদিদের জন্য বাধ্যতামূলক। সামরিক প্রশিক্ষণ পুরুষদের জন্য ৩২ মাস ও নারীদের জন্য ২৪ মাস।

ষাটের দশক থেকেই পরমাণু শক্তিধর হয় দেশটি। ড. মাহমুদ আলী বলেন, ইসরায়েলের পারমানবিক অস্ত্রের প্রকল্পে ফ্রান্স সাহায্য করেছিল। ইসরায়েল তাদের পারমানবিক কর্মসূচী নিয়ে বেশ গোপনে এগিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের অন্য মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলো যাতে পারমানবিক শক্তি অর্জন করতে না পারে সেজন্য আমেরিকা ছিল বদ্ধ পরিকর।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ২০১৪ সালের ১৫ই জানুয়ারি এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করে যে ইসরায়েলের পারমানবিক কর্মসূচীর ব্যাপারে আমেরিকা এবং ব্রিটেন অনেকটা চোখ বন্ধ করেই ছিল। পশ্চিমা দেশগুলো বিষয়টি জেনেও না জানার ভান করেছে।

জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশ: শুধু সামরিক দিক থেকে নয়, অন্যান্য ক্ষেত্রেও সমানভাবে দক্ষতার দিকে এগিয়েছে। ইসরায়েলের চমক জাগানো সাফল্যগুলোর মধ্য অন্যতম হচ্ছে তাদের কৃষি খাত।

ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করার মাধ্যমে ইসরায়েল রাষ্ট্রের যখন প্রতিষ্ঠা হয়, তখন সেখানে পানি এবং উর্বর ভূমির সংকট ছিল। কৃষি-ভিত্তিক রাষ্ট্র পরিচালনা থেকে একটি হাই-টেক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় রূপান্তরিত হয়েছে ইসরায়েল। অত্যাধুনিক সেচ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মরুভূমিতে নানা ধরণের শস্য ফলানোর সাফল্য দেখিয়েছে দেশটি।

আমেরিকার ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এর মতে ইসরায়েলের ফুড প্রসেসিং শিল্প ক্রমাগত নতুন নতুন জিনিস উদ্ভাবন করছে। ইসরায়েলের ফুড প্রসেসিং শিল্প ২০২০ সালে ১৯ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে এবং এই আয় ক্রমাগত বাড়ছে।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দিক থেকে ইসরায়েলের প্রভাব রয়েছে। দেশটিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে এমন স্টার্ট আপের সংখ্যা লাখের উপরে।

নেতৃত্ব: নেতৃত্বের দিক দিয়ে শুরু থেকেই বিচক্ষণতা দেখিয়েছে ইসরায়েল, যেটা তাদের এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। দেশটির নেতৃত্ব সামরিক, কৃষি, শিক্ষা, উদ্ভাবন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করেছে। আকতেলের মতে, তাদের নেতৃত্বের স্টাইল এবং নীতি নির্ধারণ একটু ভিন্ন ধরণের। ‘তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেয়’ বলেন আকতেল।

ইসরায়েলের ইহুদিরা মূলত এ অঞ্চলে এসেছিল বাইরের ভূখণ্ড, বিশেষত ইউরোপ থেকে। ড. মাহমুদ আলীর মতে অষ্টাদশ থেকে উনবিংশ শতাব্দীতে ইউরোপে জ্ঞানের যে ব্যাপক বিকাশ ঘটে সেটার অংশ ছিল ইহুদি জ্ঞানী বা পান্ডিত্য সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ যারা অতি জ্ঞানী, আধুনিক, শিক্ষিত একটি জাতিগোষ্ঠী হিসেবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করেন।

‘তারা ৩০ ও ৪০ এর দশকে ইসরায়েল অঞ্চলে এসেছিলেন এবং তাদের সহযোগিতায় ইসরায়েল উচ্চ শিক্ষিত একটি বৈজ্ঞানিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। মধ্যপ্রাচ্যে যেখানে দারিদ্র্য, বৈষম্য ও শিক্ষার অভাব ছিল সেখানে ইসরায়েল একটি ভিন্ন সমাজ এবং রাষ্ট্রব্যবস্থায় উপনীত হয়,’ বলেন ড. আলী।

তবে যতই আধুনিক বা শক্তিধর হোক না কেন, আকতেলের মতে এর পেছনে তাদের আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের দখল এবং মানুষের উপর সহিংসতার বিষয়টি উপেক্ষা করা যায় না।



ড. ইউনূসের সন্তানেরা কোথায় কি করেন?

ড. ইউনূসের সন্তানেরা কোথায় কি করেন?

 


শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূস, ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালানোর পর হাল ধরেন বাংলাদেশের।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রধানের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে অনেকেরই অজানা। ব্যক্তিগত জীবনে প্রফেসর ইউনূস দুই কন্যা সন্তানের জনক। তার বড় মেয়ের নাম মনিকা ইউনূস আর ছোট মেয়ে দিনা আফরোজ।

মনিকা ইউনূস নামে ভারে যেনো ড. ইউনূসের যোগ্য কন্যা। বাবার নোবেল জয়ের আগে থেকেই স্বনামে-স্ব অবস্থানে নিজেকে বিখ্যাত করেছেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সোপরানো সঙ্গীত শিল্পী মনিকা। বিখ্যাত অপেরা দল নিউ ইয়র্ক মেট্রোপলিটান অপেরাসহ বিভিন্ন অপেরা এবং সঙ্গীতদলের সঙ্গে সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকেন ইউনূস কন্যা।

১৯৬৭ সালে ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সময় ড. ইউনূসের সঙ্গে পরিচয় হয় মনিকা ইউনূসের মা রাশিয়ান বংশোদ্ভূত ভেরা ফরস্তেনকো এর সাথে।

এরপর ১৯৭০ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন তারা। মনিকার জন্ম ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামে হলেও তার বেড়ে ওঠা মা এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে।

যার কারণ তার জন্মের কিছু দিনের মধ্যেই বিচ্ছেদ হয়ে যায় মা বাবার মধ্যে। আর বিচ্ছেদের পর মেয়ে মনিকাকে নিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে চলে যান ভেরা ফরস্তেনকো।

১৩ বছর বয়সে মনিকা ম্যাসাচুসেটসের প্রখ্যাত ট্যাঙ্গেলউড মিউজিক সেন্টারে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি পেশাদার অপেরা শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান।

১৯৯৭ সালে প্রখ্যাত লরেন্সভিল স্কুলে ভর্তি হবার পর তিনি জুলিয়ার্ড স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখান থেকেই ভোকাল পারফরমেন্সে স্নাতক ডিগ্রি গ্রহণ করেন। ছোট বেলা থেকে বাবাকে না দেখলেও মনিকা ২০০৪ সালে ড. ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আর ২০০৫ সালে বাবার সঙ্গে দেখা করতে তিনি বাংলাদেশে আসেন। জানা গেছে, ব্যক্তিগত জীবনে মনিকা আরেক অপেরা শিল্পী ব্রান্ডন রেনল্ডসকে বিয়ে করেন।

ড. মোহাম্মদ ইউনূসের ছোট মেয়ে দিনা আফরোজ ইউনূস। ড. ইউনূস এবং আফরোজ ইউনূসের কন্যা।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস-এর স্ত্রী আফরোজী ইউনূস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের একজন অধ্যাপক ছিলেন। আফরোজী ইউনূস পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবেও দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।

তুরিন আফরোজকে আদালতে তোলা হবে আজ

তুরিন আফরোজকে আদালতে তোলা হবে আজ

 


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে একটি হত্যা চেষ্টা মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা চেষ্টা মামলা রয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে এ মামলায় তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে তোলা হবে বলে প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে। আদালতে তোলার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে।

এর আগে, গতকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডে অবস্থিত তার বাসায় অভিযান শুরু করে পুলিশ। রাত ১১টার পর সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ একটি হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি। তিনি এতদিন আত্মগোপনে ছিলেন। উত্তরা পশ্চিম থানা ছাড়াও নীলফামারীতে তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে নিযুক্ত হন।

তিনি জামায়াতের প্রয়াত আমির অধ্যাপক গোলাম আযম এবং সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করেন।

এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক ও যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামিকে বাঁচানোর জন্য তার সঙ্গে বোরকা পড়ে মিটিং করেন। অভিযোগ রয়েছে তিনি এ আসামির কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন।

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক ওয়াহিদুল হকের মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজকে। দায়িত্ব পাওয়ার সপ্তাহখানেক পর তিনি প্রথমে টেলিফোনে ও পরে সরাসরি ওয়াহিদুল হকের সঙ্গে মামলার বিষয়ে আলোচনা করেন। পরে তুরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এক আসামির সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রসিকিউটর পদ থেকে তুরিন আফরোজকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে মা-ভাইকে হত্যাচেষ্টাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

Monday, 7 April 2025

গাজায় ইজরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল।

গাজায় ইজরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল।

 চোখের সামনে জিহাদের ময়দান দেখতে পাচ্ছি, ইমানদারগণ বসে থাকতে পারে না, ৮/৪/২৫ মঙ্গলবার বাদ আছর সলংগা বাজার জামে মসজিদ হতে শুরু।



সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোল চত্বরে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেইঞ্জ, ৪৮ ভাগ কাজ শেষ

সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোল চত্বরে নির্মিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ইন্টারচেইঞ্জ, ৪৮ ভাগ কাজ শেষ

 


অশোক ব্যানার্জী

:উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ। ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জ জেলার হাটিকুমরুলগোল চতুর একটি গুরুত্বপূর্ণস্থান। কারন হাটিকুমুরুল গোল চত্বর হয়ে যমুনা সেতু পারাপার করে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২০ হাজার যানবাহন প্রতিদিন চলাচল করে থাকে। ঈদের সময় এই যানবাহন চলাচলের পরিমান দ্বিগুন বেড়ে যায়। অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারনে যমুনা সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে হাটিকুমরুল হয়ে উত্তরে চান্দাইকোনা, দক্ষিণে শাহজাদপুর এবং পশ্চিমে নাটোরের বনপাড়া সড়কে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থেকে চরম দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পরেন যাত্রী সাধারন ও চালকরা। এসময় যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসন, পুলিশসহ আইন- শৃংখলা বাহিনীকে হিমশীম খেতে হয়। রাতদিন ২৪ ঘন্টা রাস্তায় থেকে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ টাঙ্গাইলের এলাঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল হয়ে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার পাশাপাশি হাটিকুমরুল গোল চত্বরে নির্মান করা হচ্ছে আধুনিক সকল সুবিধা দিয়ে আর্ন্তজাতিক মানের ইন্টারচেইঞ্জ। এই ইন্টারচেইঞ্জ নির্মান কাজ শেষ হলে যানজট থাকবে না, যাত্রীরা নির্দিষ্ট সময়ে তাদের গৌন্তব্যে পৌছাতে পারবেন এবং যানজটের ভোগান্তি কমে যাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যানজট থেকে জনভোগান্তি কমাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগ হাটিকুমরুলে নির্মান করছে আর্ন্তজাতিক মানের ইন্টারচেইঞ্জ। সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হচ্ছেদেশের মধ্যে সব থেকে নান্দনিক ও দৃষ্টি নন্দন আধুনিক মানের ইন্টারচেইঞ্জ। এর নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করছে এবং চালুর পর থেকে তিন বছর ইন্টারচেইঞ্জ রক্ষনাবেক্ষন করবে চায়না রেলওয়ে কনন্ট্রোশন ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানী লিঃ (সিআরবিজি)। এর নির্মান কাজ শুরু করা হয় ২০২২ সালে এবং শেষ হাবার কথা ছিলো ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। কিন্তু জমি অধিগ্রহনের জটিলতায় প্রায় দেড়বছর সময় নষ্ট হয়ে যায় যার কারনে সময় বৃদ্ধি করা হয় এবং ৭৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ইন্টারচেইঞ্জের কাজ ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে শেষ হবার কথা রয়েছে। তবে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন নির্মান কাজ দ্রুত করা হচ্ছে এবং গুণগতমান ঠিক রেখে বর্ধিত নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এর নির্মান কাজ শেষ করে যান বাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া যাবে।প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আরও বলছেন দেশের সড়ক অবকাঠামোর মধ্যে হাটিকুমরুলে নির্মান করা ইন্টারচেইঞ্জে এই প্রথম ইন্টেলিজেনস ট্রান্টপোর্ট সিস্টেম (আইটিএস) পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই পদ্ধতির সুবিধা হলো আইটিএস ব্যবহার করার কারনে যানবাহন ইন্টারচেইঞ্জে চলাচলের সময় স্বয়ংক্রিয় ভাবে আগাম শতর্কতা জানাবে যানবাহনের গতি, যানজট, দুর্ঘটনার বিষয় সেই সাথে করণীয় বিষয়ে নির্দেশনারও সংকেত জানা যাবে। যানবাহন প্রয়োজন মতো তার গতিপথ বদলাতে পারবে এর কারনে দুর্ঘটনা কম হবেআধুনিক সকল সুবিধা দিয়ে দৃষ্টি নন্দন আর্ন্তজাতিক মানের এই ইন্টারডেইঞ্জ নির্মান কাজ শেষ হলে এক কিলোমিটার দুর থেকে ভাগ হয়ে যাবে বিভিন্ন জেলার যানবাহন। ধীরগতিরযানবাহন চলাচলের জন্য থাকছে সার্ভিস রোড। থাকবে জনসাধারন চলাচলের জন্য ফুটওভার ও ওয়ার্কওয়ে। যাত্রী ও পণ্যবাহী ট্রাকচালদের জন্য থাকবে আধুনিক মানের পৃথক বিশ্রামাগার। নির্মান করা হচ্ছে বিশ্বমানের সার্ভিস এরিয়া। যেখানে পাঁচশত যানবাহন একসাথে দাঁড়াতে পারবে। যাত্রীর সুবিধার জন্য থাকবে নিরাপত্তা সম্বলিত উন্নত মানের হোটেল রেস্তোরা। এছাড়া ইন্টারচেইঞ্জ পরিচালনা ও রক্ষাবেক্ষনের জন্য নির্মান করা হচ্ছে আধুনিক মানের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র। প্রায় ১৪৭ একর বিশাল জায়গা নিয়ে ইন্টারচেইঞ্জ। আর ইন্টারচেইঞ্জ এলাকার নিরাপত্তার জন্য সীমানা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা দেয়া হচ্ছে। এর জন্য নির্মান করা হয়েছে প্রায় ৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রাচীর। সব মিলিয়ে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে হাটিকুমরুলে।নির্মিত হচ্ছেসিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাট্রিজ পরিচালক প্রদীপ কুমার রায় বলেন, ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে যানজট একটি বড় সমস্যা। ইন্টারচেইঞ্জ নির্মানের কারনে সহজে নির্দিষ্ট সময়ে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহি যানবাহন তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌছাতে পারবে এর কারনে এই অঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্যের গতি আসবে। সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেল জানান সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক নির্মিত ইন্টারচেইঞ্জ এই দপ্তরের একটি যুগান্তকারি প্রদক্ষেপ। এর নির্মান কাজ শেষ হলে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটা বদলে যাবে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় গতি আসবে। সেই সাথে যাত্রী ও চালকদের কোন ভোগান্তি থাকবে না। ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল রাখতে সময় ও অর্থ ব্যয় কমে যাবে এর জন্য সরকারের অর্থেরসাশ্রয় হবে।হাটিকুমরুল ইন্টারচেইঞ্জ প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, এই ইন্টারচেইঞ্জ দেশের অন্যতম বৃহৎ আধুনিক আর্ন্তজাতিক মানের একটি প্রকল্প সিরাজগঞ্জে যমুনা সেতুর পশ্চিম মহাসড়কের হাটিকুমরুল গোল চতুর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এই গোল চতুর ব্যবহার করে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন উত্তর-দক্ষিণবঙ্গ ও ঢাকার মধ্যে চলাচল করে থাকে। যার কারনে এখানে প্রায়ই যাজজটের সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়েন শতশত যাত্রী ও চালকরা। দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমাতে সড়ক জনপথ বিভাগ এখানে একটি আধুনিক মানের ইন্টারচেইঞ্জ নির্মান করছেএর কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪৮ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, জমি অধিগ্রহনের জটিলতায় কাজ শুরু করতে ১৬ মাস দেরী হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শুরু হওয়ায় সময় বৃদ্ধি করতে হয়েছে। ইন্টারচেইঞ্জ নির্মিত হলে ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্বিঘ্ন ও সহজ হবে। পাল্টে যাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার কারনে উত্তরাঞ্চল মানুষের ব্যবসা- বণিজ্যে গতি আসবে তাদের আর্থিক সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে। এর আংশিক নির্মান কাজ শেষ হওয়ায় ঈদকে সামনে রেখে যানজটের ভোগান্তি কমাতে চলতি মাসের শেষের দিকে ইন্টারচেইঞ্জর সার্ভিস সড়ক খুলে দেওয়া হবে। এতে করে যানজট সৃষ্টির সম্ভাবনা একে বারেই কমে যাবে যার কারনে এবছরের ঈদযাত্রা অনেকটা নির্বিঘ্ন ও স্বস্তির হবে বলে আশা করেন তিনি।

মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত করেশাহজাদপুরের দুগ্ধ ও তাঁত শিল্পের উন্নয়নে সবাইকেসাথে নিয়ে কাজ করা হবে - কাজ করা হবে- মাওলানা মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান

মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজ মুক্ত করেশাহজাদপুরের দুগ্ধ ও তাঁত শিল্পের উন্নয়নে সবাইকেসাথে নিয়ে কাজ করা হবে - কাজ করা হবে- মাওলানা মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান

 



বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশজামায়াতে ইসলামী। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের কিছু ভিন্নতা রয়েছে, মৌলিক কিছু পার্থক্য রয়েছে। সেই পার্থক্য হলো একে বারে ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতা নির্বাচন করা হয় দলের গঠনতন্ত্র ও প্রটোকল মেনে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি সু-শৃঙ্খল দল।তাই যে কারও হুট করে নেতা হবার সুযোগ নেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে। দলের জন্য ত্যাগী, দক্ষ, সৎ, নিষ্ঠাবান নিবেদিত প্রাণ এবং নেতা-কর্মীদের সমর্থন ও মতামতের ভিত্তিতে নেতা নির্বাচন করা হয়। কেন্দ্রের কোন সিদ্ধান্ত দলের তৃণমূল পর্যায় থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সুশৃঙ্খল ভাবে মেনে চলা হয়। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিরাট গুরুত্ব বহন করে। সেই গুরুত্বকে প্রাধ্যান্য দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা বাংলাদেশে দুইশতাধিক সংসদীয় আসনে ইতোমধ্যেই প্রার্থীতা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ ক্ষেত্রে দলের জন্য ত্যাগী, নিষ্ঠাবান, সৎ, দক্ষ ও নিবেদিত পরিচ্ছন্ন ইমেজের কর্মীকে বেছে নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচনে তাদের প্রার্থী করা হয়েছে সেই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জে ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থীতা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুশৃঙ্খল দল হবার কারণে এই জন্য দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে কোন প্রকার বিরোধ, দ্বন্দ্ব ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়নি যা অন্যান্য দলের ক্ষেত্রে চিন্তা করা একেবারেই সম্ভব নয়। সিরাজগঞ্জে ৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর আংশিক সদর), সিরাজগঞ্জ-২ (সদর-কামারখন্দ), সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালী), সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) এবং সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) এই পাঁচটিতে প্রার্থীতা ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে (তাড়াশ রায়গঞ্জ) প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। অল্প সময়ের মধ্যে এখানেও প্রার্থী ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। সিরাজগঞ্জ-৬ শাহজাদপুর সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাহজাদপুর উপজেলা শাখার আমির অধ্যাপক মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমানকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।বিনয়ী, সৎ, দক্ষ ও কর্মী বান্ধব নেতা হিসেবে শাহজাদপুর উপজেলা জামায়াতের আমির ও জেলা মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যাপক মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমানকে সংসদ সদস্য নির্বাচনে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।সু-শিক্ষিত অধ্যাপক মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান ১৯৭৫ সালের ১০ জানুয়ারি শাহজাদপুর উপজেলার দ্বাবাড়িয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতা মরহুম সেরাজুল ইসলাম ও মাতার নাম সাজেদা বেগম। অধ্যাপক মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান ১৯৮৯ সালে দাখিল, ১৯৯১ সালে আলিম এবং ১৯৯৪ সালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (সম্মান) এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৫ সালে এমএ পাশ করেন। ২০২১ সাল থেকে তিনি শাহজাদপুর উপজেলা আমির হিসেবে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন অধ্যাপক মাওলানা মিজানুর রহমান ১৯৮৮ সালে ইসলামী ছাত্রশিবিরে যোগদানের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী রাজনীতির সাথে যুক্ত হন। ২০০১ সালে তিনি জামায়াতে ইসলামীর মূল দলে যোগদান করেন এবং ২০১০ সালে তিনি রুকন নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে জেলা মজলিশে সুরা সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত শাহজাদপুর পৌর আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। এবং ২০২১ সাল থেকে অদ্যাবধি উপজেলা আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন নিষ্ঠার সাথে রাজনীতির পাশাপাশি নানা সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন অধ্যাপক মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান। তিনি শাহজাদপুরে একজন জনপ্রিয় নেতা হিসেবে পরিচিত।ত্যাগী রাজনীতিবিদ অধ্যাপক মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান রাজনীতি করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট সরকারের রোশানলে পরে মামলা, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং কারাভোগ করেছেন একাধিকবার। সিরাজগঞ্জ-৬ সংসদীয় আসনে জামায়াত কর্তৃক মনোনয়ন পাওয়ার আগে থেকেই অধ্যাপক মাওলানা মোঃ মিজানুররহমান তার নির্বাচনী এলাকা শাহজাদপুরে দলের নেতা- কর্মী সহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করছেন ।অধ্যাপক মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান দলের সিদ্ধান্ত, চিন্তা ও দল ক্ষমতায় গেলে কি কি করা হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরছেন জনগণের মাঝে। তিনি সাড়াও পাচ্ছেন বেশ। বিগত দিনের দুঃশাসন সম্পর্কে মানুষকে সজাগ করছেন। অধ্যাপক মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, আমরা দেশের মানুষের জন্য দল করি। কিন্তু বিগত দিনে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়নি। স্বাভাবিক ভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা যায়নি। মামলা হামলা দিয়ে আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমাদের কোণঠাসা করে রাখা হয়েছে। দেশের মানুষ বিগত দিনগুলোতে রাষ্ট্রীয় শাসন দেখেছে। সেটা কোন শাসন ছিল না। ছিল শোষন এবং মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরি করার মহরা। আওয়ামী লীগ সরকার অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছিল। তাই অতীতে মানুষ যা দেখেছে, যা ঘটেছে আর তা দেখতে চায় না। বিগত দিনের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় তবে সেই পরিবর্তন যেন জনগণের স্বার্থে হয়। জনগণের এই ধারণাকে ধারণ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে নতুন ভাবে দেশকে গড়ে তুলতে চায়। তাই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে দুঃশাসন নয় জনগণের সেবক হয়ে কাজ করবে। আমি একজন কর্মী হিসেবে দলের আদেশ নির্দেশ মেনে শাহজাদপুরে সকল সামাজিক ও মানবিক উন্নয়নে কাজ করবো। তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে দেশের উন্নয়নের কথা বলা হলেও কার্যত সুষম কোন উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়নে বৈষম্য করা হয়েছে যার কারণে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ সঠিক উন্নয়ন পায়নি। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে, সারা দেশের সাথে শাহজাদপুরেও পরিকল্পনা মাফিক সু-সম উন্নয়ন করা হয়নি। ভিন্ন মতের ভিন্ন দলের মানুষ উন্নয়ন ও সুবিধা বঞ্চিত হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সহ সারা দেশে এখনো লাখ লাখ বেকাররয়েছে। আমরা সরকারে গেলে বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারি ভাবে বিভিন্ন মিল কলকারখানা প্রতিষ্ঠা করা হবে। পাশাপাশি সিরাজগঞ্জের ও দেশের শিল্প উদ্যেক্তাদের অনুপ্রাণিত করে শাহজাদপুরে ও সিরাজগঞ্জে বেসরকারি ভাবে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। শাহজাদপুরের উন্নয়ন বৈষম্য দূর করা হবে তিনি বলেন, শাহজাদপুর সারা দেশের মধ্যে তাঁত, দুগ্ধ শিল্প ও প্রাণি সম্পদের সুনাম রয়েছে। এই এলাকার মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের উদ্দ্যগে এই শিল্প সমূহ গড়ে তুলেছেন। এখানে উৎপাদিত দুগ্ধ ও তাঁতের কাপড় সারা দেশে যায়। তুলনামূলক কমমূল্যে ভালো মানের কাপড় হওয়ায় এবং এখানে উৎপাদিত দুধ খাঁটি ও মানসম্মতহওয়ার কারণে সারা দেশে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই সকল শিল্প সমূহের সাথে হাজার হাজার পরিবার জড়িত কিন্তু বিগত দিনে বিষয়টির গুরুত্ব না দিয়ে তাঁত ও দুগ্ধ শিল্পের উন্নয়নে সরকারি কোন পৃষ্টপোষকতা ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হয়নি। এখানে উৎপাদিত দুগ্ধ বিক্রির বাজার তৈরি না করতে খামারীরা নায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিগত দিনে সরকারি সহযোগিতায় এক শ্রেণির ব্যবসায়ীয়দের সুবিধা দেয়া হতো যার কারণে সুতা, রং ও তাঁত শিল্পের উপকরণ সমূহের দাম লাগাম বৃদ্ধির কারণে তাঁতি ও খামারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে এবং আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে সুতার বাজার সিন্ডিকেড ভেঙে দেয়া হবে। বেকার সমস্যা সমাধানে দুগ্ধ ও তাঁত শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি এখানে প্রয়োজনীয় শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে কাজ করা হবে।খামারীরা যেন দুধের নায্য মূল্য পায় সেই ব্যবস্থা করা হবে। তাঁত ও দুগ্ধ শিল্পকে বাঁচাতে ও প্রসার ঘটাতে তাদের সহজে ও স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় মাদক সহ নানা প্রকার নেশায় জড়িয়ে যুবকদের চরিত্র ধ্বংস করা হয়েছে তাদের মেধাহীন করে ফেলা হয়েছে।আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে, আমার প্রথম কাজ হবে শাহজাদপুরকে মাদক ও চাঁদাবাজী মুক্ত করা। সন্ত্রাস মুক্ত করা। মাদক, সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজীকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। বরং কঠোর হস্তে দমন করা হবে। শাহজাদপুরে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা হবে। শাহজাদপুরের সমস্যা সমূহ চিহ্নিত করে সেই মোতাবেক কাজের পরিকল্পনা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন করা হবে। উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় রাস্তা-ঘাট, কালভাট ও ব্রিজ নির্মাণ ও উন্নয়ন করা হবে। সিরাজগঞ্জে জেলা তথা দেশের প্রধান শাহজাদপুরের কাপড়ের হাট নানা সমস্যায় জর্জরিত। বিগত দিনে এখানে ব্যবসায়ীদের সুবিধা না দেখে ব্যক্তি ও গোষ্ঠিকে সুবিধা দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের জিম্মী করে ব্যক্তি গোষ্ঠি ফায়দা লুটেছে। এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাটের ক্রেতা, বিক্রেতারা ও ব্যবসায়ী। এই সমস্যার সমাধান করা হবে। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও যুক্তিসঙ্গত খাজনা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে। তাঁত মালিক, ব্যবসায়ী ও শাহজাদপুরবাসীকে সাথে নিয়ে শাহজাদপুরের কাপড়ের হাটকে দেশের মধ্যে একটি মডেল হাটে পরিণত করা হবে। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে দুগ্ধ, তাঁত এবং প্রাণি সম্পদের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সকল কিছু করা হবে। অর্থাৎ শাহজাদপুরে উন্নয়নে বৈষম্যমুক্ত ইনসাফ মূলক শাসন কায়েম করা হবে।আমি নির্বাচিত হলে যুব সমাজকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার ব্যবস্থা করা হবে এবং মাদক প্রতিরোধ করা হবে। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিষয়ে তিনি বলেন আমি যখন নির্বাচিত হবো তখন তো দলমত নির্বিশেষে সবার এমপি। এছাড়া বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু শব্দতে বিশ্বাস করে না এবং তা সমর্থনও করে না। আমারা যেমন এই দেশের নাগরিক তেমনি এখানে বসবাসরত হিন্দু- বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান সবাই এদেশের নাগরিক। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে এখানে ধর্মীয় স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ থাকবে, সমঅধিকার থাকবে। যার যার ধর্মের আচার অনুষ্ঠান তাদের মতো করে করবে। তিনি আরও বলেন, দেশের সকল ধর্মের বর্ণের গোষ্ঠি ও শ্রেণি পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে একটি মডেল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। পৃথিবীর বুকে বাংলাদেকে একটি মর্যাদাশীল জাতি ও দেশ হিসেবে পরিচিত করতে চায়। আর দেশের এই সার্বিক উন্নয়ন ও নতুন পথে চলার সাথী হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দেশের সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও শ্রেণি পেশার মানুষের আকুণ্ঠ সমর্থন চায়। মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা তথা সারা দেশের মধ্যে শাহজাদপুরের একটি সম্ভাবনাময় উপজেলা তাই আমি শাহজাদপুর থেকে সাংসদ নির্বাচিত হলে সকল ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ও শ্রেণি পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে দলমতের উর্দ্ধে উঠে সার্বিক সু-সম বৈষম্যহীন ভাবে শাহজাদপুরের সার্বিক উন্নয়ন করা হবে। এক্ষেত্রে তিনি শাহজাদপুরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।